ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গবেষক সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের ৭০তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে।
গত ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে শহরের দি আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গিতাঙ্গন সরোদ মঞ্চে তাঁর জন্মদিন উদযাপন করা হয়। জন্মদিনে দি আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গিতাঙ্গন সরোদ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সোহেল আহাদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি মো. আঃ কুদদূস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা এডভোকেট আবু তাহের, সাংবাদিক মুহম্মদ আরজু, কবি আবদুল মান্নান সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, গোকর্ণ ঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভৌমিক, ফারুক আহমেদ ভুইয়া, নারী নেত্রী নন্দিতা গুহ, অদ্বৈত গবেষক এডভোকেট মানিক রতন শর্মা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সাধারণ নিয়াজ মুহম্মদ খান বিটু, রবীন্দ্র সম্মিলন পরিষদের সভাপতি মানবর্দ্ধন পাল ও সহসভাপতি ডা. অরুণাভ পোদ্দার, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ^বিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ একেএম শিবলী, জেলা উদীচী সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভুইয়া স্বপন, জামিনুর রহমান, নতুন মাত্রার সভাপতি আল আমিন শাহীন, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট লোকমান হোসেন, সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, এটিএম মহসিন, নাসিম আহমেদ, নারীনেত্রী নেলী আক্তার, পাভেল রহমান, চেতনায় স্বদেশ পাঠাগার সভাপতি আমির হোসেন, কবির কলম সভাপতি হুমায়ুন কবির, ঝিলমিল শিশু-কিশোর পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, নোঙর সভাপতি শামীম আহমেদ, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন, কবি রুদ্র মুহম্মদ ইদ্রিস, কবি সৈম আকবর, গণগ্রন্থাগার কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম লিমন, জেলা খেলাঘর সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য সচিব সঞ্জীব ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট অঞ্চল) মনির হোসেন, আবরনি নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ ও শারমিন সুলতানা। এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন জেলা নাগরিক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন, তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ, আবরনি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সম্মিলিত সাংবাদিক ইউনিয়ন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন, সোনালী সকাল, আবৃত্তি একাডেমি।
কবি জয়দুল হোসেনের জন্মদিনে শুভেচ্ছায় বক্তারা বলেন, কবি জয়দুল হোসেন দীর্ঘ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংস্কৃতি অঙ্গনে নিরলসভাবে সংস্কৃতি চর্চা করছেন। তিনি কখনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোস করেননি। তিনি স্বৈরাচার আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের ক্রান্তিলগ্নে হেফাজতি তাÐবের বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন। তিনি সাহিত্য একাডেমি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি কবিতা লেখা, গল্প লেখা চালিয়ে গেছেন। তাঁর অবদানের মধ্যে সবচেয়ে বড় অবদান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করা যা ইতিহাসে স্বাক্ষী হয়ে থাকবেন তিনি। তাঁর এই অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন তিনি। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে কবি জয়দুল হোসেনের কবিতা অবলম্বনে সোহেল আহাদের গ্রন্থনা ও নুসরাত জাহান বুশরা এর নির্দেশনায় তিতাস বন্দনা দলীয় পরিবেশন করেন সাহিত্য একাডেমির বুশরা, আমান উল্লাহ, তৃপ্তি, রামিম, সাফা, পূর্ণীমা, বর্ষা, সোনিয়া, তিলোত্তমা, নূরুল্লাহ্, হাবিবুল্লাহ, আবির, শুভ্র ও আপন দাস প্রমূখ।
Leave a Reply